সুতা দিয়ে ব্যথা মাপি

এখানে এসেছি ভেসে তৃষ্ণার্ত তৃতীয় প্রহরে নোঙরের আশায়। চেনা ঘাট অচেনা মোহনা ধীরে বয়ে চলে জলের কাহিনি জালের জমিনে...। কালগত কথামালা বুকে রাখে শত শ্বাস ফাগুন বাতাস- ঢেউ তোলে আপন কায়ায়। ছায়ামায়া পথ হেঁটে এখানে অতিথি হয় অজানা জোনাকি। কাহিনির কিছুটা নয়নে জমা বাকিটা পাঁজরে বাধা, মিশে যাবে সবই জলের অতলে। বহুদূর থেকে কূল ভাঙা স্বর ভেসে আসে ফেনিল জোয়ারে। জানা ধারাপাত পাঠ করি জোছনার শরীরে নীরবে-নিভৃতে। কত রাত কত প্রাত বুননে বরণে সঁপেছি সন্তর্পণে বুকের তরঙ্গে, জানে চাঁদবুড়ি সুতার মাপনে তিথি লাগা পূর্ণিমায়। আমি তো বহন করি যাপনে প্রমত্ত চেতনার চেনা নুড়ি ছুড়ে ফেলি যতসব সাঁঝবাতি সাজানো সন্ধ্যায়। ঘোর লাগা বাঁকা চাঁদ হাত পাতে ধরাধামে- ভীষণ বাসনা...! এখানে কেটেছে মাতৃকোল শিশুকাল শিউলি সকাল আর ঘুম লাগা রঙিন রজনী।

আহা! এ পাড়ার ক্ষেত্রপালে জবা দেব দলে মিলে কাটাব পূর্ণিমা প্রহর লগ্নের আশায়...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন