উজানযাত্রা

সম্পর্কের সুতাগুলো সমুদ্রের পোনামাছের মতো জলে মিশে থাকে অদেখা রঙে, গভীরভাবে যারা চেয়ে থাকে অর্থাৎ মনোযোগী সাধক শুধু দেখে, অনুভব করে, শিহরণ তোলে দেহে। আছি আর আছে। যারা দেখে না তাদের কথা বলতে চাই না, কী হবে শব্দক্ষরণ করে তাদের কথা লিখে, বরং একমুখী চেয়ে থাকি অক্ষরেখা বরাবর যা সাতগ্রামের মানুষজনের মুখে মুখে রটেছে কথিত হৃদয়ের উজানযাত্রা...

বাতাসের বেগ মাপি, জলের ঘনত্ব মাপি কিন্তু মনের টান মাপতে গিয়ে যে মিটারে পাঠ নিই তাতে দাগ নেই। তাই নিজের মতো করে সাজানো যায় দাগি টান...

সময় বা অসময় ধরে টানের উৎসমূলে যেতে যেতে পথ পাড়ি দিই, কখনো হেঁটে কখনো বুক ঘষে ঘষে, কখনো আনত চোখে, কখনো অঙ্গজ্বরে, আর কত দূর- কত আলোকবর্ষ দূরে! যেতে যেতে কেন পড়ে বাঁধা- কেন ধাঁধা মনে অযথা এত দূর গিয়ে কাক্সিক্ষত ঠিকানা খোঁজা?

সূর্য ডুবে গেলে মন আকুল হয়ে ওঠে ঝিঁঝি পোকা দেখতে, তারা দেখতে- যা দেখেছিলাম বাঁকখালীপাড়ে বাঁশঝাড়ের ফাঁকে ফাঁকে; যেখানে আমি কথা বলে উঠি- যেভাবে পৃথিবীর তলদেশ থেকে গুনগুন করে সুর ওঠে বালি খোঁড়া জলের মতন...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন